রাইসুল ইসলাম নাঈম, আজমিরীগঞ্জ
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর বাজারস্থ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র থাকলেও সেখানে কোন ধরনের সেবা পাওয়া যায় না। সেবা পেতে হলে আজমিরীগঞ্জ সদর প্রাণিসম্পদ কেন্দ্রই একমাত্র ভরসা। তবে পশুপাখি নিয়ে পাহাড়পুর থেকে আজমিরীগঞ্জ যেতে পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পাহাড়পুর বাজারের নিকটেই প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র সাইনবোর্ডে একটি ভবন রয়েছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট ভবনে অফিস রুমটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, তবে পাশের কক্ষটি খুলামেলা আছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে ভবনটির ওইর কক্ষে কুকুর আশ্রয় নিয়ে বসবসাস করছে, রাতের বেলা এখানে মাদকসেবীরা নিরাপদে মাদক সেবন করে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় পর্যায়ে গরু-হাস-মুরগী খামারীগণ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের খামারে পালিত পশু-পাখির বিভিন্ন রোগ বালাই হলে আমরা এখানে আসি একটু সেবা পেতে, ভবনটি নির্মাণ ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র হওয়ার পর থেকে আমরা যখনই আসি তখনই ভবনটি বন্ধ পাই। বাধ্য হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ ভোগ করে আমাদের যেতে হয় আজমিরীগঞ্জ সদরে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মানসুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক বিজয়ের কন্ঠ কে জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবা দিতে আমরা বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রে সেচ্ছাসেবক দ্বারা সেবা দিয়ে আসছি। পাহাড়পুরে আমাদের উন্নয়ন কেন্দ্র সুমেস দাস দেখাশোনা করেন। গত মাসেও আমি পাহাড়পুর পরিদর্শন করেছি।আপনারা যখন আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন আমি অবশ্যই তদন্ত করব, যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

পাহাড়পুরে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সুমেস দাসের সাথে কেন্দ্র কেন সবসময় বন্ধ থাকে এবং রাতের বেলায় যে ওই জায়গায় মাদকসেবীরা মাদক সেবন করে সে ব্যাপারে তিনি জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি দৈনিক বিজয়ের কন্ঠ কে জানান, আপনাদের ভুল তথ্য দেওয়া হইছে, আমি নিয়মিত অফিস খুলি এবং সেবা প্রদান করি।