হবিগঞ্জে এই শীত এই গরম, বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৩

হবিগঞ্জে এই শীত এই গরম, বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
মাঝ পৌষেও তেমন ঠান্ডা পড়েনি হবিগঞ্জে। গত এক সপ্তাহ ধরে কখনও ঠান্ডা আবার কখনও গরম। দু’দিন ধরে আবার বেশ ঠান্ডা। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ উঠেছে ২৪ ডিগ্রি পর্যন্ত। আবহাওয়ার এমন ওঠানামায় ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়ছে। এক সপ্তাহে সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন পৌনে ৭শ’ জন রোগী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার থেকে জেলায় প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়েছে। ঠান্ডায় সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বিশেষ করে হাওরাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকায় ঠান্ডা বেশি পড়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই এসব এলাকার।
২৯ ডিসেম্বর থেকে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত ৬৭৬ জন শিশু সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে সিট রয়েছে ৫৯টি। কিন্তু গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১শ’ রোগী ভর্তি থাকছে। ফলে শিশুদের মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
চুনারুঘাটের মো. শাহীন জানান, ঠান্ডা, কাশি, সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে প্রায় ৮ দিন ধরে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। প্রথমে তার ডায়রিয়া হয়েছে। পরে বাকি রোগ দেখা দেয়।
মাসুদা আক্তার জানান, তার ছেলে ঠান্ডা লেগে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। তাই গত ৭ দিন ধরে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সদর আধুনিক হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স পলি বৈদ্য জানান, ঠান্ডায় রোগীর চাপ বেড়েছে। এতে তাদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না। তাদেরকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, শিশুদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া অনেক কষ্টের। তবে ঠান্ডায় এখনও পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি।
সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ বছর জেলায় অনেক দেরিতে ঠান্ডা পড়েছে। মাঝে মাঝে ঠান্ডা এবং মাঝে মাঝে গরম। এ অবস্থায় ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। রোগীর তুলনায় সিট কম হওয়ায় চিকিৎসা দিতে ডাক্তার, নার্সদের মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বেশিরভাগই হাওর ও পাহাড়ি এলাকার মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর