টাস্কফোর্সের অভিযানে পাথরখেকোদের হামলা: বিজিবিসহ আহত ২৩, আটক ১

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০১৯

টাস্কফোর্সের অভিযানে পাথরখেকোদের হামলা: বিজিবিসহ আহত ২৩, আটক ১

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলণের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে টাস্কফোর্সের অভিযানিক দলের অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীরা টাস্কফোর্সের উপর হামলা করে। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন।

জানা যায়, সোমবার দুপুর ১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের লিলাই বাজার এলাকায় বোমা মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শেষ পর্যায়ে বিকেল ৩টায় পাথরখেকোদের সংঘবদ্ধ একটি চক্র টাস্কফোর্সের ওপর হামলা চালায়। এসময় প্রাণ রার্থে বিজিবির সদস্যরা ২৩ রাউন্ড গুলি ও পুলিশ সদস্যরা ৩৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েন।

পাথরখেকোদের হামলায় বিজিবি গোয়েন্দা বিভাগের নায়েক আব্দুর রহিম, সৈনিক হাসান মিয়া, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এসআই আমিনুল হক, সিপাহী রুহুল আমিন, ভূমি অফিসের চেইন ম্যান হেমায়েত হোসেন, টাস্কফোর্স অভিযানে বোমা মেশিন ধবংস ও ভাঙচুরের কাজে নিয়োজিত লেবার মোবারক, মিজান, আলী হোসেন, আলমগীর, ইব্রাহিম, শাহিনসহ আরও ১০-১২ জন আহত হন।

এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রানার উপরও পাথর নিপে করা হয়। তবে, তিনি তেমনভাবে আহত হননি। এসময় ঘটনাস্থল থেকে কালাইরাগ গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে পাথর শ্রমিক সোহেল মিয়া(২১) কে আটক করে উপজেলা প্রশাসন। আটকের পর তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে জড়িত, তারাই হামলা করেছে। আমরা হামলাকারীদের বিস্তারিত পরিচয় সংগ্রহ করছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, হামলাকারী পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলার সাথে জড়িত কাউকেই কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গত রবিবার কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদী, ভোলাগঞ্জ গুচ্ছ গ্রাম, কালাইরাগ লাল পাথর ও কালাইরাগ নয়াবাজার এলাকায় অবৈধভাবে বোমা মেশিন নামক দানবযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ১৫টি বোমা মেশিন, ৩টি লিস্টার মেশিন ও প্রায় ৫’শ ফুট প্লাস্টিক পাইপ ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এর ােভে পাথরখেকোরা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আজ ফের উপজেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্সের অভিযান চলাকালে পাথরখেকোরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর