ঢাকা ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদন
পূবালী ব্যাংকের চাঞ্চল্যকর ২২ লাখ টাকা ডাকাতির মামলায় সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউপি চেয়ারম্যান উসমান আলী এবং সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আশিক আহমদসহ ১৬ জনকে ৭ বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। মামলায় একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
২৫ ফেব্রæয়ারি সোমবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মফিজুর রহমান ভূইয়া এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেটের বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা নিয়ে নগরের লালদিঘীরপারস্থ সিলেট মেইন শাখায় মাইক্রোবাসযোগে আসছিলেন পূবালী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) জিএম আতাহার হোসেন। এসময় তার সাথে ছিলেন গার্ড মোজাম্মেল আলী, আমানত উল্লাহ ও মাইক্রোবাস চালক মজনু মিয়া। সন্ধ্যা ৬টার দিকে হুমায়ূন রশীদ চত্ত¡রে আসার পর ১৫-২০ জন লোক মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে হামলা চালিয়ে গাড়িতে থাকা ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে ২২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা ১৪ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি স্ট্যান্ডগানও ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) জি এম আতাহার হোসেন বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানী ও ২৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আদালত মামলার ১৬ আসামীকে সাজা এবং একজনকে খালাস প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামীরা হচ্ছেন- সিলেট সদর উপজেলার সোনাতলা গ্রামের শহীদুল ইসলাম শহীদ, নগরের ফাজিলচিশতের জাবেদ, সওদাগরটুলার রুবেল আহমদ, বলকলাপাড়ার কামাল হোসেন, নূরানী সুবিদবাজারের বাসিন্দা কলিন্স সিংহ, কদমতলীর আবদুল মমিন, ইঙ্গুলাল রোড কুয়ারপারের রহিম আলী, দক্ষিণ সুরমার বানেশ^রপুরের শফিক মিয়া, একই গ্রামের বাসিন্দা ও চেয়ারম্যান উসমান আলীর ভাই আনহার ও আঙ্গুর, আবদুল হক লিটন, শাহান, লিটন ও সিপন আহমদ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মফুর আলী এবং ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আব্দুল মওমুদ ও ব্যাংকের আইন কর্মকর্তা এডভোকেট মাহবুব আহসান।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech