ঢাকা ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আফনানকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার প্রতিবাদে সিলেট নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে বিুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের গাড়িও আটকা পড়ে। পরে তিনি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থান নেন শিার্থীরা। এসময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুরে বাসের হেলপার ও চালকের সাথে বাকবিতণ্ডার পর আফনানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় বাসটি আফনানের ওপর দিয়ে চলে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বিচারের দাবিতে রোববার দুপুর ১২টা থেকে সিলেট নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা। সিকৃবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে তাদের সাথে যোগ দেয় বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।
দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, ওয়াসিম হত্যার বিচার চাই, আমার ভাই মরলো কেনো, বিচার চাই, নিরাপদ সড়ক চাই- নানা স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে চৌহাট্টাস্থ রাজপথ।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিােভ মিছিল বের করে ওয়াসিমের সহপাঠিরা। মিছিলটি এসে জড়ো হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারস্থ চৌহাট্টা এলাকায়।
সড়ক অবরোধের কারণে চৌহাট্টার চারদিকে যান চলচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়েন হাজারো পথচারী। শিক্ষার্থীরা তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা অবরোধ তুলে নেন।
এরপর দ্বিতীয় দফায় বিকেল ৪টার দিকে ওয়াসিম আফনান হত্যার প্রতিবাদে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা নগরের চৌহাট্টায় আবারও সড়ক অবরোধ করে।
রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে চৌহাট্টায় জড়ো হতে থাকেন। শিার্থীদের অবরোধে চৌহাট্টার চারদিকে শত শত গাড়ী আটকা পড়েছে।
এ সময় শিার্থীরা ‘আর নয় আশ্বাস, উঠে গেছে বিশ্বাস’, ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, ঘাতকদের ফাসি দে’, ‘আর নয় আশ্বাস, ভেঙে গেছে বিশ্বাস’ সহ নিরাপদ সড়কের দাবিতে নানা ধরণের স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শেরপুর নামক স্থানে বাসচাপায় প্রাণ হারান সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ওয়াসিম। তিনি হবিগঞ্জে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের রুদ্র গ্রামের মো. আবু জাহেদ মাহবুব ও ডা. মীনা পারভিন দম্পতির একমাত্র সন্তান।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ওয়াসিমের সহপাঠীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ওয়াসিমকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করেন উদার পরিবহন নামের বাসটির সহকারী। এমন অভিযোগে শনিবার রাত থেকেই বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, শনিবার রাতেই ঘাতক বাসকে ওসমানীনগর থেকে, বাসচালক জুয়েল আহমদকে দণি সুরমা থেকে এবং সহকারী মাসুক আলীকে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে আটক করে পুলিশ। দুজনই ওয়াসিম হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech