আম্বরখানা-এয়ারপোর্ট রোডে যানজট নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০১৯

আম্বরখানা-এয়ারপোর্ট রোডে যানজট নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা

নিজস্ব প্রতিবেদন
সিলেট শহরের আম্বরখানা-এয়ারপোর্ট রোডে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র দাবির প্রেক্ষিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম।

সভায় সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার পর্যটন ও অর্থনৈতিক খাতে সিলেটকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রবাসী অধ্যূষিত অঞ্চল হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা প্রতিনিয়তই সিলেটে যাতায়াত করে থাকেন। তাছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে জন্য সিলেট পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। কিন্তু আম্বরখানা-এয়ারপোর্ট রোডে ট্রাফিক ব্যবস্থার বেহাল দশার কারণে প্রবাসী, পর্যটক, রোগী ও জনসাধারণ প্রতিদিন মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সিলেট চেম্বারের দাবির প্রেক্ষিতে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের নির্দেশনায় এবিষয়ে মতবিনিময় সভাটি আয়োজনের জন্য চেম্বার সভাপতি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, আম্বরখানা-এয়ারপোর্ট রোডে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে কয়েকটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। যার মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ বাইপাস থেকে বাদাঘাট পর্যন্ত ৯ কি:মি: রাস্তা দ্রæত সংস্কার করা একান্ত জরুরী, যাতে মালবাহী ট্রাকগুলো সেদিক দিয়ে যাতায়াত করতে পারে এবং এয়ারপোর্ট রোডে ট্রাকের দীর্ঘ জ্যাম সৃষ্টি না হয়। এছাড়াও আম্বরখানা পয়েন্ট ও এয়ারপোর্ট রোডে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা একান্ত প্রয়োজন।

সভায় বক্তাগণ সিলেট শহরে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানান। বক্তাগণ আম্বরখানা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তাকে প্রশস্থকরণ, ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, একলাইনে ট্রাক চলাচলের ব্যবস্থাকরণ, শহরে যাতায়াতের প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সংখ্যক সিএনজি অটোরিক্সা শহরের ভেতরে রেখে বাকীগুলো শহরের বাইরে চলাচলের ব্যবস্থাকরণ সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, কোম্পানীগঞ্জ বাইপাস থেকে বাদাঘাট পর্যন্ত রাস্তার কাজ দ্রæত শেষ করার ব্যাপাারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রশাসনের পক্ষে এককভাবে যানজট নিরসন করা সম্ভব নয়। এজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। তিনি আম্বরখানা ও এয়ারপোর্ট রোডে রাস্তার দুপাশে ভ্যানগাড়ি, ঠেলাগাড়ি ও ভ্রাম্যমান দোকান যাতে বসতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

এছাড়াও আম্বরখানা-এয়ারপোর্ট রোডে অবস্থিত সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোতে সিএনজি অটোরিক্সাগুলো যাতে এলোপাতাড়িভাবে না দাঁড়াতে পারে সেব্যাপারে তিনি ট্রাফিক বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি এ রোডে যানজট নিরসনের বিষয়টি নজরে আনার জন্য সিলেট চেম্বার অব কমার্সকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা আশ্বাস প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে এবিষয়ে আরো সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়ছল মাহমুদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা জাবেদ সিরাজ, সিএনজি অটোরিক্সা গ্রæপের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ, সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রæপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পুলক কবীর চৌধুরী প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মো. নাসির উল্লাহ খান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি ট্রাফিক নিকোলিন চাকমা, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) রুজিনা আক্তার, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) ডালিম উদ্দিন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ, সিলেট ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এবং পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর