ঢাকা ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন : ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিকসামগ্রী তৈরি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ শ্রমিকের মৃত্যু হলো। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থেকে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- জাকির হোসেন (২২), খালেক, সালাউদ্দিন, ইমরান, বাবলু ও রায়হান, সুজন, জিনারুল ও আলম।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. আরিফুল ইসলাম নবীন জানান, বুধবার ওই কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জাকির হোসেন নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ও ভোরে মারা যান ওই কারখানার কর্মী খালেক, সালাউদ্দিন, ইমরান, বাবলু ও রায়হান, সুজন, জিনারুল ও আলম। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আরও একজনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ আরও ২৬ জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক। এর আগে বুধবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকার ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনার সময় শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। তখন হঠাৎই গ্যাস রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ আরও অন্তত ৩২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হলো। ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, প্লাস্টিক গলানোর যে মেশিন (বয়লার মেশিন) সেটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, কারখানার ভেতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, দগ্ধদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দগ্ধদের মধ্যে ২৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech