ঢাকা ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন : মহান বিজয় দিবসের আগের দিন গত রবিবার স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। এই তালিকা কতটুকু সঠিক তা নিয়ে নানামুখী প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি এডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর নাম এই তালিকায় উঠে এসেছে রাজাকার হিসেবে। রাজশাহী বিভাগের তালিকায় গোলাম আরিফের নাম রয়েছে ৬০৬ নম্বরে। ভাষা সৈনিক ও যুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক গোলাম আরিফের নাম কি করে এই তালিকায় এলো তা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে।
এক প্রতিক্রিয়ায় গোলাম আরিফ টিপু বলেন, ‘নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জিত, বিস্মিত, হতবাক। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কতটা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের মধ্যে এই কাজটি করেছে তালিকা দেখলেই বুঝা যায়। এর থেকে প্রমাণিত হয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম যথাযথভাবে হচ্ছে না। যে কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। যেভাবে আমার নাম দেওয়া হয়েছে, সেভাবে তো আমাকে পাওয়ার কথা না কোনোভাবেই।’
বরিশালের এক জন গেজেটেড ও নিয়মিত ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমার চক্রবর্তী। রাজাকারের তালিকায় তার নাম এসেছে। তার মেয়ে বাসদ নেত্রী ডা. মণিষা চক্রবর্তী এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বরগুনার মজিবুল হক। সারাজীবন আওয়ামী লীগ করেছেন। প্রয়াত এই নেতা ৮৬ সনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ নির্বাচন করেছেন। ৭১ সনে পাথরঘাটা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তার নাম তালিকায় আসায় ওই এলাকায় কানাঘুষা চলছে। বিরোধী রাজনৈতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
বিএনপি এই তালিকা সঠিক কিনা প্রশ্ন তুলেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। লন্ডন প্রবাসী প্রবীণ সাংবাদিক ও ভাষা সৈনিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী এক অনুষ্ঠান বলেছেন, রাজাকারদের তালিকা তৈরি করার আগে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। কারণ, অনেক স্বাধীনতাবিরোধী আওয়ামী লীগের চারপাশ ঘিরে রেখেছে। তারা সরকারের বড় বড় পদে রয়েছে। তাদের কথা বললে হয়তো আমাকে আর দেশে আসতে দেবে না।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এই তালিকা তৈরিতে ৫০ বছর লাগল কেন? এই সরকার তো দশ বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতায় রয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত রোববার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক ১০,৭৮৯ জন রাজাকারের প্রথম তালিকা প্রকাশ করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তালিকা প্রকাশ করে বলেন, অনেক জেলা প্রশাসন এতে যথাযথ সহযোগিতা করেনি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech