শহীদ নাম না থাকায় ভাতা থেকে বঞ্চিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার পরিবার

প্রকাশিত: ১২:৫২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯

শহীদ নাম না থাকায় ভাতা থেকে বঞ্চিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার পরিবার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়া (আবু তাহের) এর পরিবার শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা না পেয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার ভাই মোঃ গনি মিয়া। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বগুলা ইউনিয়নের কেম্পেরঘাট গ্রামের মৃত রোছমত আলীর পুত্র।
.
জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার (আবু তাহের)গেজেট নং- ৩৫৩৬, মুক্তিবার্তা নং- ০৫০২০৯০৩৬২, কল্যাণ ট্রাস্ট নং- ২৪৪৬১, জাতীয় তালিকা নং- ২৫৯। তিনি ভারতের মেঘালয় প্রদেশের ইকোয়ান নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ৫নং সেক্টরের চেলা সাব-সেক্টর মেজর মুসলে উদ্দিনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তাহিরপুর উপজেলার বড়ছরা টেকেরঘাট নামক স্থানে পাক-বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
.
সরকারি সকল দপ্তরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তারু মিয়ার নাম থাকা স্বত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তারু মিয়ার নামের পূর্বে ‘শহীদ’ অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তাঁর পরিবার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার(আবু তাহের)।
.
শহীদ গেজেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়া(আবু তাহের)এর নামের পূর্বে ‘শহীদ’ অন্তর্ভুক্ত করতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বরাবরে আবেদন করেন,শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার ভাই মোঃ গনি মিয়া।
.
আবেদন গ্রহণ করে তাতে স্বাক্ষর প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধা গেজেটের উপ-কমিটিকে ‘শহীদ’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হোক। কিন্তু মন্ত্রীর নির্দেশের আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও অদৃশ্য কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার নামের পূর্বে এখনো শহীদ নামটি লাগে নি।
আরো জানা যায়-২০১৪ সালের ৯সেপ্টেম্বর তৎকালীন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবজিৎ সিংহ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার স্ত্রী শাফিয়া বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে তিনি উল্লেখ করেন, তারু মিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং ৭১ সালের রনাঙ্গণে যুদ্ধে শহীদ হন। পরে বিগত ২০১৮ সালের ২৩এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে শাফিয়া খাতুনকে স্ত্রী উল্লেখ করে তাকে সম্মানী ভাতা ও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ করে একটি চিঠি প্রদান করা হয়।
.
শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভাই গণি মিয়া জানান, আমার ভাই একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। দেশের জন্য লড়ে জীবন দিয়েছেন। অথচ আজ আমরা সরকারের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। আমরা অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছি। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর