‘ইউএনও আসছেন’ শুনেই পালাল ভুয়া এনজিও

প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯

‘ইউএনও আসছেন’ শুনেই পালাল ভুয়া এনজিও

ছাতক প্রতিনিধি : ছাতকে হাসি খুশি ও ন্যাশনাল কমার্স অ্যান্ড কনসালটেন্ট নামে ভুয়া একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নতুনবাজারের শাহীন মসলা মিলের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন অফিসটি সিলগালা করে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির আসছেন শুনে আগেই পালিয়ে যায় প্রতারকচক্র।

জানা যায়, সিলেটের বিভাগে চারটি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৮ শতাধিক গ্রামে মসজিদ ও মন্দিরভিত্তিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের নামে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় হাসি খুশি নামে ভুয়া এই এনজিও প্রতিষ্ঠান। এ সূত্রে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ চারটি জেলার বিভিন্ন উপজেলার নাগরিকরা প্রায় ২ হাজারেরও বেশি আবেদন করেন।

সকাল ৮টা থেকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারীদের কাছ থেকে এনজিও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীন আকন্দ নামে একজন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের নামে ৫ শতাধিক নারী-পুরুষের নিকট থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিস ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এ নিয়োগের ঘটনাটি খবর পেয়ে ছাতক উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা গোলাম কবির গোবিন্দগঞ্জ অফিসে এসে ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠানে কাগজপত্র, অফিসের মালামাল জব্দ করেন ও প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ননিতে নিদের্শ দেন পুলিশকে।

পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের যাবতীয় কাগজপত্রাদি, কম্পিউটার, প্রিন্টার, চেয়ার, টেবিলসহ অন্যন্য মালামাল জব্ধ করে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও ভুয়া নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে চক্রটি সারা দেশে প্রতারণার জাল বিস্তার করেছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে চক্রটি শিক্ষিত বেকারদের কাছ থেকে দুই হাতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি কৌশল। তাদের এক মাসের ট্রেনিং দেওয়া হয়। ট্রেনিং ফি হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই অফিসে কাগজপত্র রেখেই পালিয়ে যায় হাসি খুশি নামে ভুয়া এনজিও সংস্থার প্রতারকচক্র।

সূত্র জানায়, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেওয়ার পর ট্রেনিং সেন্টারে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ন্যাশনাল কমার্স অ্যান্ড কনসালটেন্ট এর নামে প্রতিষ্ঠান দোয়ারাবাজার হেলাল মাকেট, গোবিন্দগঞ্জ নতুনবাজারে শাহীন মসলা মিলের দ্বিতীয় তলায় অফিস করে প্রতারণা করে আসছে।

ইউএনএ গোলাম কবির ঘটনাস্থলে আসায় সিলেট বিভাগের প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ছাতক থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, এনজিও সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীন আকন্দ এর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। অফিসটি সিলগালা করাসহ অন্যন্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর