জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের মিছিল সমাবেশ

প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৮

জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের মিছিল সমাবেশ

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্ট-১৯৩৩ এর উদ্যোগে রোববার বিকেল ৪টা নগরে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নগরের সুরমা মার্কেট পয়েন্ট থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আম্বরখানা পয়েন্টে সমাবেশে মাধ্যমে শেষ হয়।

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ছাদেক মিয়া’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির এর পরিচালনায় মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট শহর পুর্বাঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনছার আলী, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমদ ভূঁইয়া, তালতলা অঞ্চলিক কমিটির সভাপতি জুয়েল আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেরা কমিটির সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, শাহপরান থানা কমিটির সহ সভাপতি মোঃ জয়নাল মিয়া, পীরেরবাজার-বটেশ^র-পরগনা-দাশপাড়া আঞ্চলিক কমিটির সহ সভাপতি মোঃ বারেক আলী, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ শাহীন মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুমিন মিয়া প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন এর ১০৮ ধারায় দৈনিক ৮ ঘন্টা, সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ করার আইন থাকলেও হোটেল মালিকগণ শ্রমিকদের দৈনিক ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য করান। আইনের ১০৩ ধারায় সপ্তাহে দেড় দিন তো দূরের কথা মালিকগণ মাসেও একদিন ছুটি দেন না। যদিও বা কোন সময় ছুটি মিলে মালিকরা সেই দিনের মজুরী দেন না। এছাড়াও বাংলাদেশে শ্রম আইন এর ৫ ধারায় নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, ৬ ধরায় সার্ভিস বই, ২(১০) ধারায় চাকুরিচ্যুতি জনিত ৪ মাসের নোটিশ পেয়ে প্রতি বছর চাকুরীর জন্য ৪৫ দিনের গ্রেচ্যুয়েটি, ১১৫ ধারায় বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১৬ ধারায় ১৪ দিন অসুস্থতা জনিত ছুটি, ১১৭ ধারায় প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য একদিন অর্জিত ছুটি, ১১৮ ধারায় ১১দিন উৎসব ছুটি প্রদানের আইন থাকলেও হোটেল শ্রমিকদেরকে এই সকল আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

শ্রম আইন স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বাসস্থানের বিধান থাকলেও শ্রমিকরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে ও থাকতে বাধ্য হন। হোটেল শ্রমিকরা দৈনিক ১২-১৪ ঘন্টা অমানবিক পরিশ্রম করে অর্ধহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। যার কারণে হোটেল শ্রমিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তুষ বিরাজ করছে।

সভা থেকে বর্তমান বাজার দরের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে হোটেল সেক্টেরে নি¤œতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সাপ্তাহিক ছুটি, অর্জিত ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি, ৮ ঘন্টা কাজ শেষে অতিরিক্ত কাজের দ্বিগুণ মজুরী সহ শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবী জানান।

বক্তারা আরো বলেন, প্রস্তাবিত শ্রম আইন ২০১৮-তে শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারা বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়নয় এবং শ্রম আদলতে দায়েরকৃত শ্রমিকদের মামলা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তিসহ সিলেটে স্থায়ী শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার দাবী জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর