ঢাকা ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় পাউবোর অধীনে কাইলানী হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত কাজে দুইজন সভাপতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রকল্পের জন্য গঠিত ৫৭ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি ওসীম কুমার তালুকদারকে বাদ না দিয়েই একই প্রকল্পে পরিমল মজুমদারকে সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, উপজেলার সানবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও বিগত বছরগুলোতে ওই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ ধরার অভিযোগে অভিযুক্ত সেই পরিমল মজুমদারকে প্রকল্পের সভাপতি করার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার (১ মার্চ) বিকেলে একই গ্রামের ৩০ জন কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, এবার চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার কাইলানী হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত কাজে পাউবোর অধীনে স্থানীয় কৃষকদের সমন্বয়ে গঠিত ৫৭ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি করা হয় সানবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা অসীম কুমার তালুকদার নামের এক কৃষককে। পরে সভাপতি ওসীম কুমার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজের চুক্তিপত্র সম্পাদন শেষে পাউবোর নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধ মেরামতের কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু সুনামগঞ্জ পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রকল্প সভাপতি ওসীম কুমার তালুকদারের কাছ থেকে অবৈধভাবে কোনো ধরনের সুবিধা নিতে না পেরে তিনি একই প্রকল্পে পরিমল মজুমদারকে সভাপতি করে তিনি তাকে দিয়েও একই বাঁধের মেরামত কাজ চালিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া পরিমল মজুমদারকে এ বাঁধ মেরামতের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই তিনি নিজের জমিতে মৎস্য সংরক্ষণের জন্য পুকুর খননের পরিকল্পনা নিয়ে মূল বাঁধে মাটি না ফেলে তার সুবিধামতো জায়গা দিয়ে বাঁধ নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন।
এ ব্যাপারে ৫৭ নম্বর প্রকল্প কমিটির সভাপতি ওসীম কুমার তালুকদার বলেন, এলাকার কৃষকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক গণশুনানিতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রকৃত কৃষক হিসেবে আমাকে ওই প্রকল্পের সভাপতি করা হয়। আমি অফিসের সঙ্গে চুক্তি করেই নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধ মেরামতের কাজও শুরু করি। আর কাজ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ধারদেনা করতে হয়েছে আমাকে।
ওসীম কুমার আরো বলেন, উপসহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল ইসলামের কথামতো চুক্তিপত্রের খরচ বাবদ আমি তাকে আড়াই হাজার টাকাও দিয়েছি। কিন্তু কোনো কারণ বা নোটিশ ছাড়াই কেন আমাকে বাদ দিয়ে এলাকার একজন চিহ্নিত বাঁধ খেকোকে ওই প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে তা বুঝতে পারছি না।
উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু তালেব বলেন, ওই বাঁধের কাছে পরিমল মজুমদারের প্রচুর জমি রয়েছে। সে জন্যই ওসীম কুমার তালুকদারকে এ প্রকল্পের সভাপতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ওসীম কুমারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও বিনা নোটিশে কীভাবে তাকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি পদ থেকে বাদ দেওয়া হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো পিআইসির সভাপতি বা সদস্যকে বাদ দিতে নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে চুক্তিপত্র বাবদ টাকা রাখার ব্যাপারে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech