ঢাকা ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০
ডেস্ক প্রতিবেদন :: পারিবারিক কবরস্থান দখলের অভিযোগ তুলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন সুনামগঞ্জের ছাতক থানার দোলারবাজার ইউনিয়নের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে মো. আব্দুর রব। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিপক্ষ বারবার তার প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা করছে। এই চক্র মামলার পর মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। একাজে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাও জড়িত বলেও অভিযোগ তার। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে তিনি এসব অভিযোগ পাঠিয়েছেন। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিলেট বিভাগের ডিআইজি, র্যাবের মহাপরিচালক, র্যাব সিলেটের অধিনায়ক, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছেও তিনি অনুলিপি পাঠিয়েছেন। আর এসব অভিযোগ পাঠানোর পরেও তার উপর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে বলে তিনি ছাতক থানায় ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি মামলাও দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, একই ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার ফেছনের ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলতাব আলী ওরফে আলতাফুর রহমান অত্যন্ত প্রভাবশালী লোক। অসতভাবে অন্যের সম্পদ গ্রাস করাই তার পেশা। তার কুকর্মের সাথী কয়েকজন অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা। আমার পারিবারিক গুরুস্তানের ১৫ ডেসিমিল জমি দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছেন আলতাবুর রহমান। এ উদ্দেশ্যে নানা হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আমাদের বিরুদ্ধে তিনি একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা দিচ্ছেন । তার সহযোগি ছাতক থানায় কর্মরত অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা বিনা কারণে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত করে আমাদের গ্রেপ্তার করে মানহানিকর অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। এতে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত। সম্প্রতি র্যাব সদস্যরা গোরুস্তানের গেইটে আমার পিতার নাম মুছে আলতাফের পিতার নাম লিখেছে। তিনি বলেন, আজ আমাদের সপরিবারে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা তার অসংখ্য মামলার মধ্যে ইতিমধ্যে ১০টি মামলা আদালতে খারিজ হয়েছে বা আমরা অব্যাহতি পেয়েছি। অন্য ৩টি মামলা এখনো বিচারাধীন। তিনি তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়াও আব্দুর রব গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ছাতক থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। এজাহারে প্রধান আসামি হিসাবে আলতাব আলীর নাম উল্লেখ করে আরও ১৩ জনকে আসামি করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির বাইরে বের হলে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বিরুদ্ধে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আলতাব ছাড়াও তিনি মৃত আমীর আলী, হাসান মিয়া, তাহিদ মিয়া, আজাদ মিয়া, মমিন মিয়া, সাঈদ, আং হক, ইয়াজ্জুল, নিয়াজ্জুল, মইজ্জুল, জুয়েল, সজ্জাদ ও সাদত আলীর নাম উল্লেখ করেন। তিনি জানান, পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে দায়েকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সার্বিক বিষয়ে তদন্ত শুরুর একটি নোটিশও সম্প্রতি তার কাছে পাঠানো হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আমরা আবারও আমার বাবার নাম গেইটে লিখে দিই। বর্তমানে সেই অবস্থাতেই আছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আলতাব আলী ওরফে আলতাফুর রহমান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমিটি আমার। তারা জোর করে আমার স্ত্রীর নামের গুরুস্তানটি নিজেদের দাবি করে দখল করে রেখেছে। এমনকি তার পিতা আব্দুল খালিকের নামও গেইটে লিখে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা বিচারাধীন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech