সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বঙ্গবন্ধু জাদুঘর

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২০

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বঙ্গবন্ধু জাদুঘর

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে ধারণ করে সুনামগঞ্জে স্থাপন করা হলো বঙ্গবন্ধু জাদুঘর। ১৯৭০ সালে আগষ্ট মাসের সফরের দুই দিন, আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেই বৈঠক খানার ঘর ও নামাজের জন্য সেই মসজিদ। সেই স্থানের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু হাওরাঞ্চল ভ্রমণ এবং নৌকাযোগে হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আওয়ামীলীগ দলীয় সংগঠনের কাজ করতেন।

১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে সুনামগঞ্জ থেকে নির্বাচিত প্রাদেশিক সদস্য (এমপিএ) গণ হলেন (সংগৃহিত) সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হেকিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ মহকুমা, আওয়ামী লীগ নেতা এড. আব্দুর রইছ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ মহকুমা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর জহুর, সুনামগঞ্জ মহকুমা, আওয়ামীলীগ নেতা মো. শামসু মিয়া চৌধুরী, সুনামগঞ্জ মহকুমা ন্যাপ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আওয়ামীলীগ নেতা, রাজাপুর, মহারাজ মিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা, সাচনা বাজার, আব্দুর রহমান তালুকদার ছিলেন সক্রিয়। সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল ধর্মপাশা উপজেলা সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে মহারাজ মিয়া চৌধুরী ও বঙ্গবন্ধু জাদুগর স্থাপিত করা হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সুখাইর রাজাপুর দক্ষীণ ইউনিয়নের মহারাজ মিয়ার বাড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এসে আওয়ামী লীগের দলীয় সভা করেন।

মহারাজ মিয়া বাংলোতে বৈঠক করেন। ধর্মপাশা উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নটি উপজেলার পুর্বাঞ্চলে অবস্থিত। শুক্রবার সকালে অনুসন্ধানে জানাযার, এ অত্র ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার গোলাম মোস্তফা ধন মিয়া (৭৫) বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান মহারাজ মিয়ার বাড়ীতে উঠান বৈঠক করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা তখন থেকে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত। মহারাজ মিয়া সুনামগঞ্জ মহকুমার আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে কাজ করতেন, সাবেক বারবার নির্বাচিত এমপি হেকিম চৌধুরী আওয়ামী লীগের দায়িত্ব ছিলেন, ধর্মপাশা উপজেলার দুই জনসহ মোট সুনামগঞ্জ মহকুমায় ৭ জন দায়িত্বে ছিলেন।

সেই বাংলাতে দু জনের নামা স্মরণ রাখতে মহারাজ মিয়ার ছেলে সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মো: আমানুর রাজা চৌঃ (৫৬), বঙ্গবন্ধু ও মহারাজ মিয়ার স্মৃতিতে এই জাদুঘর তৈরী করেন ২০১৯ সালে।

৮নং ওয়ার্ড মেম্বার সাদেকুর রহমান (৫৫) বলেন, আমরা ছোট কাল থেকেই জেনে শুনে এসেছি এই বাংলোতে বঙ্গবন্ধু এসে আওয়ামী লীগ দলকে সংগঠিত করার জন্য বৈঠক করেছেন, সেই থেকে বঙ্গবন্ধু বাংলা বলা হত, এখন এই বাংলাতে মহারাজ মিয়া ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘর স্থাপন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো: আমানুর রাজা চৌধুরী।

স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি মো. লাল মিয়া (৬৫) বলেন, আমাদের উপজেলায় ২ জন সক্রিয় বঙ্গবন্ধুর মনোনিত নেতা ছিলেন, সাবেক ৪ বারের এমপি মরহুম হেকিম চৌধুরী ও মরহুম মহারাজ মিয়া। জেলার ৭ জন নেতার মাঝে ২ জন আমাদের ধর্মপাশার।

ইউপি চেয়ারম্যান মো: আমানুর রাজা চৌঃ (৫০) জানান, আমার মরহুম পিতা মহারাজ মিয়া চৌধুরী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে স্মরনীয় করার লক্ষে মহারাজ মিয়া ও বঙ্গবন্ধু জাদুগর স্থাপন করেছি। আমার পিতা ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও মক্তিযোদ্ধা সংগঠক, মরহুম এমপি আব্দুল হেকিম চৌধুরীর সাথে দুজন মিলে কাজ করতেন। আমি আশা রাখি এই জাদুগর শুধু সমগ্র ইউনিয়নের জন্য নয়, ধর্মপাশা উপজেলার সব চেয়ে বড় এবং টেকসই জাদুগর হবে ইনশাল্লাহ।

এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেলবরষ ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর হোসেন বলেন, মরহুম মহারাজ মিয়া বঙ্গবন্ধুর সহচর ছিলেন, মহারাজ মিয়া চৌধুরী শুধু আওয়ামী লীগ নেতাই ছিলেন না, তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ছিলেন। আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল হেকিম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতা মহারাজ মিয়া চৌধুরীকে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর