প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় দাপট দেখাচ্ছে আসামিরা হবিগঞ্জে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকার পরও আসামি ধরছে না পুলিশ?

প্রকাশিত: ১০:২৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১

প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় দাপট দেখাচ্ছে আসামিরা হবিগঞ্জে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকার পরও আসামি ধরছে না পুলিশ?

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ২ আসামি। সাক্ষীদের দিচ্ছেন নানা হুতামকি-ধামকি। প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে। সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হয়রানী করছেন প্রতিনিয়ত। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন কেউ। এলাকার প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটের সাথে চলাফেরা করছেন তারা।
সদর উপজেলার আব্দাবকাইয়ে গেইট পুরানো মামলায় তাদের ১ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করলেও তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রেপ্তারী পরোয়ানার ১৮ মাস অতিবাহিত হলেও তাকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। পুলিশের এ রহস্য জনক আচরণে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকা জুড়ে চলছে নানা মুখি আলোচনা।
মামলা সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জ আগমন উপলক্ষে সারা জেলায় বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের কয়েকদিন পূর্বে উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের আব্দাবকাই চৌমহনীতে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও এমপি আবু জাহিরের ছবি দিয়ে একটি বিশাল তোরন স্থাপন করেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ২৭ নভেম্বর রাতে ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জয়নাল আবেদীন জালাল, আব্দুল মতিনের ছেলে মাহবুবুর রহমান রানা ও আব্দুল হান্নানসহ ৮/১০ জন ব্যক্তি কেরোসিন ঢেলে ওই তোরনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও শরীফপুর গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল জলিল বাদি হয়ে উল্লেখিতরাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে প্রেরণ করে। এরপর আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। মামলার ১নং আসামি জয়নাল আবেদীন জালাল ওই উপজেলার বৈদ্যোর বাজারে গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি ও ২নং আসামি মাহবুবুর রহমান রানা প্রতারক হুন্ডি ব্যবসা ও চোরাই মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন মামলার আসামি বলে ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, ওই মামলার ৩নং আসামি আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত। যার মামলা নং- জিআর ৩৫৯/১৪(বিঃট্রা ২২/১৫) কিন্তু গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ১৮ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। এলাকায় প্রভাব থাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রশাসনের সাথে অপর আসামি মাহবুবুর রানার সম্পর্ক রয়েছে বলে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না কেউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মামলার একজন স্বাক্ষী জানান, তিনি ওই মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় মাহবুবুর রহমান রানা তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, দোকান পাটে দেখলেই সে এবং তার আত্মীয়-স্বজনকে হুমকি দিচ্ছে রানা। তাকে সাজানো মামলায় দিয়ে আসামি করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। রানা দ্বারা তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে এই ভয়ে পত্রিকায় নাম প্রকাশ না করার জন্য এ প্রতিবেদককে অনুরোধ জানান তিনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর