ধর্ষকদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা উচিত : জয়া বচ্চন

প্রকাশিত: ২:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৯

ধর্ষকদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা উচিত : জয়া বচ্চন

ডেস্ক প্রতিবেদন : ভারতের তেলেঙ্গানা প্রদেশে এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির রাজনৈতিক দল সমাজবাদী পার্টির এমপি জয়া বচ্চন। সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সমাজবাদী পার্টির এই এমপি বলেন, এ ধরনের মানুষকে (তেলেঙ্গানা ধর্ষণ ও হত্যার মামলার অভিযুক্তদের) জনসম্মুখে নিয়ে এসে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা উচিত।

তিনি বলেন, আমি মনি করি এটাই সময়…জনগণ চায় সরকার একটি যথাযথ ও সুনির্দিষ্ট জবাব দেবে। বুধবার রাতে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে ২৬ বছর বয়সী এক নারী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করে চার ধর্ষক।

রাজ্যসভায় দেয়া ভাষণে জয়া বচ্চন বলেন, আমি জানি না এ ধরনের অপরাধের পর কতবার দাঁড়িয়েছি এবং কথা বলেছি। তবে আমি মনে করি, এটাই উপযুক্ত সময়…সেটা নির্ভয়া কিংবা কাঠুয়া কিংবা তেলেঙ্গানা হোক না কেন… আমার মনে হচ্ছে জনগণ এ ব্যাপারে সরকারের যথাযথ এবং সুনির্দিষ্ট জবাব চায়।

তিনি বলেন, সরকার কি করেছে? তারা এটা কীভাবে মোকাবেলা করছে? ভূক্তভোগীদের জন্য কী ধরনের ন্যায়বিচার করা হয়েছে। আমি কারও নাম নিচ্ছি না…কিন্তু এর জন্য কি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দায়ী নয়। মাত্র একদিন আগে তেলেঙ্গানায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে… এটা কেন বন্ধ করা যায়নি? নারী এবং শিশুদের সুরক্ষায় যারা ব্যর্থ হচ্ছে তাদের নাম প্রকাশের দাবি জানান সমাজবাদী পার্টির এই এমপি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ধর্ষকদের রিমান্ডে দেয়া জবানবন্দির একটি কপি হাতে পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে হায়দরাবাদের একটি টোল বুথের কাছে যে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে তার রোমহর্ষক বর্ণনা উঠে এসেছে ধর্ষকদের জবানবন্দিতে। অভিযুক্ত ধর্ষকদের প্রত্যেকের বয়স ২০ থেকে ২৬ এর মধ্যে। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

রিমান্ডে দেয়া চার ধর্ষকের জবানবন্দি অনুযায়ী, ওই টোল বুথের কাছে পৌঁছানোর পর এক চর্ম বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানে নিজের স্কুটারটি রেখে যান তিনি। বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নিজের স্কুটার রেখে ভাড়ায় চালিত ট্যাক্সি নিয়ে ওই চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। সেখান থেকে রাত সোয়া ৯টার দিকে ফেরার পর দেখতে পান স্কুটারটির চাকা পাংচার।

এ সময় মোহাম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু নামের চার ট্রাক চালক ও চালকের সহকারী মদ্যপ অবস্থায় ওই তরুণীর ওপর হামলে পড়েন।

সোয়া ৯টার দিকে ফেরার পর ওই তরুণীকে সাহায্য করার ভান করেন তারা। পরে তাদের মধ্যে থেকে তিনজন ওই তরুণীকে জোরপূর্বক টোল বুথের পাশের একটি ঝোপ-ঝাড়ে নিয়ে যান। ওই নারী সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করলে তার মুখে হুইস্কি ঢেলে থামানোর চেষ্টা করে তারা। তারা ওই নারীকে নগ্ন করে সংজ্ঞা হারিয়ে না ফেলা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। চেতনা ফিরে আসায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ধর্ষকরা।

এ ঘটনায় তেলেঙ্গানার পাশাপাশি সারা ভারতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, রাস্তায় নেমে ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন দেশটির শত শত মানুষ।

সূত্র : এনডিটিভি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর