ঢাকা ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন : নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠা দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটানোর ঘটনায় ইন্ডিয়া গেটে ধরনায় বসেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী।
সোমবার দুই ঘণ্টার প্রতীকী ধরনায় বসেন তিনি। সংবাদিকদের প্রিয়াংকা জানান, ‘দেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। শিক্ষার্থীদের মারতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকছে পুলিশ। সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে সরকারই।
তারা আমাদের দেশের আত্মায় আঘাত হেনেছে। যুবারা আমাদের জাতির আত্মা।’ প্রিয়াংকার সঙ্গে ধরনায় বসেন আহমেদ পাটেল, কেসি বেনুগোপাল, সুস্মিতা দেবসহ তিন শতাধিক কংগ্রেসের নেতা ও কর্মী। খবর এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের।
নাগরিকত্ব আইনে নিয়ে পার্লামেন্টের লোকসভা ও রাজ্যসভায় আপত্তি তুলেছিল কংগ্রেস। তারা বিলের পক্ষে ভোট দেয়নি। কংগ্রেস যে একে হাতিয়ার করবে, তা বলাই যায়। বুধবার রাজ্যসভায় পাস হওয়ার পর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে আসামসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
পরে তা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লিতেও। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রোববার বিকাল থেকে দক্ষিণ দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ প্রতিরোধ গড়লে হিংসাত্মক আকার নেয় আন্দোলন।
তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। বেশ কিছু গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। প্রায় ১০০ জন আন্দোলনকারী ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। তাদের মুক্তির দাবিতে দিল্লি পুলিশের সদর দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আটকদের মুক্তি দেয়ার পর ঘেরাও তুলে নেয় তারা। জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে মধ্যরাতে বেনারস, যাদবপুর, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন।
জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে সোমবার বিকালে রাজধানীতে মিছিল করেন প্রিয়াংকা গান্ধী। একাধিক প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা এবং প্রায় ৩০০ কর্মী সমর্থককে নিয়ে ইন্ডিয়া গেটে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তিনি।
২ ঘণ্টা ধরে চলে সেই অবস্থান বিক্ষোভ। ছাত্রছাত্রীরা যাতে সেই অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিতে না পারে সেজন্য মনুমেন্ট থেকে শুরু করে কাছাকাছি সব মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেয় পুলিশ। প্রিয়াংকা বলেন, এ সরকার সংবিধান ও ছাত্রদের ওপর আঘাত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে তারা হামলা চালিয়েছে। আমরা সংবিধান রক্ষার জন্য লড়াই করছি। আমরা এ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। বহু শিক্ষার্থী আহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমিও মা, আমি বুঝি ওই শিক্ষার্থীদের মায়েদের কষ্ট।’
এছাড়া নিজের টুইটার থেকে টুইটে প্রিয়াংকা বলেন, ‘পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রদের পেটাচ্ছে। যে সময়ে সরকারের এগিয়ে এসে মানুষের কথা শোনা উচিত, তখন বিজেপির সরকার উত্তর-পূর্ব, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে ছাত্র এবং সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে।
এটা একটা ভীতু সরকার।’ প্রিয়াংকার এ অবস্থান বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতারা। তাদের অভিযোগ, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করছে কংগ্রেস। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র অভিযোগ করেছেন, ‘কংগ্রেস হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছে।’ কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুর্যেওয়ালা বলেন, ‘সরকার যুবকদের বিশেষ করে ছাত্রদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech