ঢাকা ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৪৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার তাপমাত্রা নেমে আসে ১০ ডিগ্রিতে। হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের কারণে নিম্নআয়ের দিনমজুর, গুচ্ছগ্রাম ও কলোনির মানুষেরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বিশেষ করো বাগান ও পাহাড়ি এলাকা অধ্যুষিত এলাকার চা শ্রমিক ও আদিবাসীর এ শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে।
চা শ্রমিকরা সামান্য আয় দিয়ে দিনাতিপাত করে শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ নেই। এ ছাড়া যারা দিনমজুর হিসেবে কাজ করে দিনাতিপাত করেন তারা বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন। অনেকেই বাড়ি ঘর ও রাস্তায় শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে শীত রক্ষার চেষ্টা করছেন। শৈতপ্রবাহের মধ্যে শিশু কিশোররা স্কুলে এসেও পড়েছে বিপদে। অনেকেই বিদ্যালয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
এদিকে হাড় কাঁপানো শীতে স্বল্প ও নিম্নআয়ের মানুষের ভরসা এখন ফুটপাতের কাপড়ের দোকান। তারা শীত নিবারনে ভিড় করছেন শহরের ফুটপাতের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে। সস্তা কাপড়ে কোনো রকম শীত নিবারণের চেষ্ঠা করছেন ভাসমান ও গ্রাম থেকে আসা মানুষগুলো।
অপরদিকে হাড় কাঁপানো শীত ও শৈতপ্রবাহের কারণে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, পেটের নানা অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গত কয়েকদিনে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে দুই শতাধিক শিশু নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দেবাশীস দাস। গত এক সপ্তাহে ওই হাসপাতালে ১১ নবজাতক ঠাণ্ডাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে।
হবিগঞ্জের ছোট বড় ২৪টি চা বাগানের চা শ্রমিক, পাহাড়ি এলাকার আদিবাসীরা এবং নিম্নআয়ের মানুষজন শীতে কষ্ট করছেন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন তাদের কথা বিবেচনা করে ৪৬ হাজার ৮০০ কম্বল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
পুলিশ সুপারও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েক হাজার কম্বল বিতরণ করেছেন। যা একেবারেই অপ্রতুল। জেলার লক্ষাধিক চা শ্রমিকের পাশাপাশি নিম্নআয়ের ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ রয়েছে। যারা ক্ষেতে খামারে দিন মজুরের কাজ করেন। শৈত প্রবাহের কারণে তারাই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। এ অবস্থায় পাহাড়ি এলাকায় আরো বেশি করে শীতবস্ত্র বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন এলাকার জনগণ।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech