ঢাকা ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২০
ডেস্ক প্রতিবেদন :: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্ঞানচর্চাকারী ও আইন প্রতিষ্ঠাকারী চিরঞ্জীব। বিক্রমপুরে এমন ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর। হিংসা, বিদ্বেষ ও অজ্ঞতা হচ্ছে সংঘাতের জন্য প্রধান দায়ী।
শনিবার সকালে লৌহজং উপজেলার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গণে শনিবার অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পরিষদের দ্বিতীয় সম্মিলন ও জ্ঞানালোক পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য সীমা গত দশ বছরে ৪২ থেকে ২০ শতাংশে নেমে গেছে। শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয় সাংস্কৃতিক অর্জনও থাকতে হবে। আমাদের সব ভালো অর্জন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন বিশিষ্ট নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিক্রমপুর মানে আমাদের কাছে প্রণোদনা। এর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
ফাউন্ডেশনের সম্মিলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান বক্তা হিসাবে আলোচনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, বিক্রমপুর এক সময় ছিল জ্ঞানচর্চার আধার। প্রাচীনকালে বিক্রমপুরে বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি চাই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের নাম, পরিচয় ও অবদান এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন।
কবি ঝর্ণা রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের লৌহজং কেন্দ্রের আহ্বায়ক কবির ভূঁইয়া কেনেডি।
আলোচকদের মধ্যে বক্তৃতা দেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ড. মাহবুবে রশিদ, বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লায়লা হাসান।
তিনি বলেন, আমাদের বিক্রমপুরে অনেক কিছু দেখার আছে, জানার আছে। আপনাদের সন্তানদের এসব দেখাবেন। আলোচনা করেন অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সরকারি লৌহজং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাম্মেল হক, বিক্রমপুর জাদুঘরের কিউরেটর অধ্যাপক মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনী তালুকদার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদার।
আলোচনা সভা শেষে জ্ঞানালোক পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালের জ্ঞানালোক পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো। ২০১৯ সালের জন্য দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন মনোনীত হলেও বিশেষ কাজে বিদেশে অবস্থান করায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech