ঢাকা ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
সাহাদ উদ্দিন দুলাল
সিলেটের মহাসড়কগুলোতে সিএনজি চালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম বেড়েই চলছে। কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে অবাধে চলছে এসব সিএনজি চালিত অটোরিকশা। অদক্ষ ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন সিএনজি চালক প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে মহাসড়কে গাড়ী চালানোর ফলে প্রায়ই বড় দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে।
বিভিন্ন স্থানে হাইওয়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না অটোরিকশার চলাচল। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় নানা দুর্ঘটনা। অকালে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকে।
দেশের মহাসড়কগুলোতে মারাত্মক হারে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এর প্রতিকার হিসেবে বিগত ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে সকল মহাসড়কে থ্রি হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পু ও সকল শ্রেণীর অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে সরকার। কিন্তু অটোরিকশা চলাচল থামছেই না। মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপের ৩ বছর পূর্ণ হলেও আজও পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, সিলেটের কিছু সিএনজি অটোরিকশার সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অবাধে সিএনজি চলাচল করে এরই মধ্যে বেশিরভাগ সিএনজিরই ফিটনেসবিহীন। এসব চালকরা হাইওয়ে পুলিশকে নানা সময় গাড়ীতে গ্যাস নেয়ার কতা বলে মহাসড়কে অবাধে গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে প্রতিদিনই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ গত শনিবার দুপুরে সিলেট টাকা মহাসড়কের তেতলি বদিকোনা নামকস্থানে সিএনজি বাস সংর্ঘষে নববধুসহ দুই জন কলেজ ছাত্রী নিহত ও ৪জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। এভাবে প্রতিদিনই সিএনজির সাথে বাস ট্রাক প্রিকাপভ্যান কার লাইটেস গাড়ীর সাথে র্দূঘটনা ঘটেই চলছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিলেটের হুমায়ুন রশিদ চত্বর, চন্ডিপুল পয়েন্ট, রেলগেইট সিএনজি স্ট্যান্ড, পুরান পুলের মুখ স্ট্যান্ড, বাবনা পয়েন্ট স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিরিয়াল ধরে সিএনজি অটোরিকশাগুলি যাত্রী নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ লালাবাজার নাজির বাজার জগন্নাথপুর মিরপুর নবিগঞ্জ সহ বেশকিছু লোকাল স্থানে যাতায়াত করছে। এই মহাসড়কে প্রতিদিনই হাইওয়ে পুলিশের টহল থাকলে তারা যেন এগুলি দেখেও না দেখার ভান করে। সাধারণ জনগণ মনে করেন কোন খুঁটির জোরে প্রশাসনের চোখের সামনে তারা অবৈধভাবে সিএনজি চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে হাইওয়ে পুলিশ এসব গাড়ী চলাচলের কারণে কিছু সিএনজি অটোরিকশা আটক করেন, পরে জরিমানা প্রদান করে এবং মালিকপক্ষ অবৈধ পন্থায় গাড়ি ছাড়িয়ে নেন। পরে আবারো সেই গাড়ি মহাসড়কে নামান মালিক পক্ষ। এতে করে মহাসড়কে অটোরিকশার রাশ টানা সম্ভব হচ্ছে না। মহাসড়কের আশপাশের বসতবাড়ীর লোকজন জানান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনদের সিএনজি চালিত অটোরিকশা কেন্দ্রিক অবৈধ ঘুষ বাণিজ্যের কারণে মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। তাই জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে সিলেট শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ অফিসার কামরুল সেলফোনে এ প্রতিবেদককে জানান আমাদের টহল পুলিশ প্রতিদিনই হাইওয়ের ভিবিন্ন মোড়ে এসব অবৈধ সিএনজি অটোরিকশার ইপর অভিযান চালাচ্ছি এবং মামলা দিয়ে যাচ্ছি তাছাড়া ফিটনেস বিহীন গাড়ীগুলি রেকার করে থানায় নিয়ে যাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের হাইওয়ে পুলিশের লোকবল সংকট গাড়ীর সমস্যা থাকায় আমরা অনেক সময় অভিযান করতে পারি না তারপরও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech