শহীদ মিনারে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯

শহীদ মিনারে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার মানববন্ধন

হাওর/দ্বীপ/চর উপজেলা হিসেবে সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দিরাইসহ হাওরাঞ্চলের কয়েকটি উপজেলার নাম বাদ পড়েছে। বাদপড়া উপজেলাগুলোকে প্রজ্ঞাপনে যুক্ত করার দাবিতে সোমবার বিকেল ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাসমির রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পিযুষ পুরকায়স্থ টিটুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সিলেটে বসবাসরত হাওর এলাকার জনগণ ও সিলেটের সুধীমহল উপস্থিত ছিলেন।

মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দিরাইয়ের মত হাওরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া উপজেলাগুলো সরকারি তালিকা থেকে বাদপড়া বিস্ময়কর। এতে বাদপড়া উপজেলাগুলো নানা সরকারি বেসরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তাই অবিলম্বে প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে হাওরাঞ্চলের বাদপড়া উপজেলাগুলোকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। তিনি সবসময় হাওরবাসীর পাশে রয়েছেন। হাওর/দ্বীপ/চর উপজেলা হিসেবে সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোকে সরকারিভভাবে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু আমরা চাই সুবিধাবঞ্চিত হাওরের বাদবাকি উপজেলাগুলোও যেন এই সুবিধা পায়। তাই আমরা তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দিরাইসহ বাদপড়া উপজেলাগুলোকে একই তালিকায় সংযুক্ত করার দাবি জানাই।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, তাহিরপুর সমিতি, সিলেটের সভাপতি এডভোকেট আলী হায়দার, সাধারণ সম্পাদক রজত সরকার, জামালগঞ্জ ঐক্য কল্যাণ পরিষদ, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার, উপদেষ্টা সুনামগঞ্জ সমিতি, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বাবর, তাহিরপুর সমিতি, সিলেট এর উপদেষ্টা অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল, আব্দুল হাই মাস্টার, সুজন সিলেট শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জামালগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ সিলেটের সাবেক সভাপতি মোঃ আবু তাহের, প্রবাল ঘোষ চৌধুরী, অর্ধেন্দু ঘোষ চৌধুরী, তাহিরপুর ছাত্র কল্যাণ পরিষদ, এম সি কলেজের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম পিন্টু, দিরাই ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সহসভাপতি সুরঞ্জিত তালুকদার আর সি এর উপদেষ্টা সজীব আহমদ সজল, সাধারণ সম্পাদক আবিদ হাসান, সুরভি সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি শিরিন চৌধুরী, রুমা আক্তার, শাহেদা আক্তার, সাগর বিশ্বাস পদ্ম, লিটন তালুকদার প্রমুখ।

উলে­খ্য, ১৯ ফেব্রুয়ারি সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করে পার্বত্য অঞ্চল বহির্ভূত ১৬টি উপজেলাকে হাওর/দ্বীপ/চর এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

উপজেলাগুলো হল- কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, নোয়াখালীর হাতিয়া, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চর রাজিবপুর, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, ভোলার মনপুরা। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, শাল­া ও দোয়ারাবাজার এবং হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরী হাওর-দ্বীপ-চর উপজেলার মধ্যে পড়েছে।

হাওর-দ্বীপ-চর উপজেলা ঘোষণার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এসব উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের বদলি, পদায়নের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় নেয়া হবে। তারা কিছু বাড়তি সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের উপজেলায় সাধারণত তিন বছর থাকতে হয়। এসব উপজেলায় দু’বছর থাকলেই হবে। টিএ/ডিএ-এর ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর