ঢাকা ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৯
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, বিশ্বম্ভরপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় দিনভর শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকগণ। রোববার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ফলে হাওর পাড়ের জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন বোরো ফসল নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে কৃষককুলে।
জেলার তাহিরপুরের শনি, মাটিয়ান, জগন্নাথপুরের নলুয়া, মইহায়ার হাওর, জামালগঞ্জের পাকনার, বিশ্বম্ভরপুরে খরচার হাওরসহ কয়েকটি হাওরে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন কৃষকরা। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষনিক জানা যায়নি বা কৃষকরা নিশ্চিত করতে পারেন নি।
চৈত্রমাস আসলে কৃষকরা সব সময় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটান প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্নিঝড়, শিলাবৃষ্টি ও ফসল রা বাধঁ নিয়ে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয় নি।
হাওর পারের কৃষক মহিদুল, কালাম, শফিক জানান, হাওর পারের মানুষ বছরের ৬মাস বোরো জমির চাষাবাদ করে সারা বছরের ধান গোলায় তুলেন। এই ধান পরিবারের সদস্যদের খাদ্য সংকট মোকাবেলা করে। পাশপাশি ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও জোগান দিতে হয় বোরো জমির ফসল থেকেই। আর বছরের বাকি ৬মাস বর্ষার অলস সময় পার করে সবাই। এই বোরো ফসলে কিছু হলে পথ বসতে হবে।
জেলার হাওর পারের কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিটি উপজেলায় সিন্ডিকেটের কারণে হাওরে বাধঁ নির্মাণের তিনটি তারিখ ও সময়সীমা অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এসব বাঁধের কাজ মাত্র ৬০ থেকে ৭০ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
এরমধ্যে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পিআইসিদের সিন্ডিকেটের কারণে বাধেঁর গোড়া থেকে মাটি নিয়ে বাঁধে মাটি ফেলা, টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়া, এখনই বাঁধের মাটি ধসে পড়া নিয়ে চরম আতঙ্কে কৃষকরা। ঠিক সময়ে একমাত্র জীবন জীবিকার উৎস সোনালী ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কি না এনিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech