ঢাকা ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:১১ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০১৯
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
নির্মাণের পর থেকেই ব্যবহার হচ্ছে না সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের আদাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাবার খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি। ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে। শুধুমাত্র ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে গেল দুই বছর থেকেই কালভার্টটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কালভার্ট নির্মাণ করে দায়িত্ব শেষ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতুটির সংযোগ সড়ককের মাটি নাম মাত্র ফেলেই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সাথে যোগাযোগী মাধ্যমে বরাদ্দের পুরো টাকা উত্তোলন করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এতে করে এই কালভার্টটি স্থানীয় জনসাধরণের কোন কাজেই আসছে না। বরং, গত দুই বছর ধরে সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ না হওয়ায় সেতুটি উপকারে পরিবর্তিতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় শিক্ষার্থীসহ দুই পারের বাসিন্ধারা। ফলে সবার মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭অর্থ বছরে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের আদাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাবার খালের উপর ৫৪লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু-কাম কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলীসহ অনেকেই জানান, ৬০ফুট দৈর্ঘ্যের কালভার্টটি নির্মাণেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সেতুটি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় হেলাল এন্টারপ্রাইজ। যার স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম। কিন্তু হেলাল এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্সটি ব্যবহার করে এই কাজ বাস্তবায়ন করে আলমগীর হোসেন নামে স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এই বিষয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, আমি কালভার্টটির অ্যাপ্রোচে কয়েকবার মাটি ফেলেছি। তিনি আরো বলেন, হেলাল এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্সটি ব্যবহার করে চুক্তির মাধ্যমে এ কাজটি আমি বাস্তবায়ন করেছি।
তবে আদাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু মোছা জানান, ঠিকাদার সামান্য মাটি ফেলেই চলে গেছে। আমরা একাধিকবার বলেও অ্যাপ্রোচে মাটি ভরাট করাতে পারি নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানিক মিয়া জানান, কালভার্টের অ্যাপ্রোচের জন্য প্রায় ৭৭হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ অনুযায়ী ঠিকাদার আলমগীর হোসেন মাটি ভরাট করেছেন। কিন্তু মাটি ধসে পড়ায় হয়তো মাটি নেই। টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি ভরাট করা হবে।
এদিকে, টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে এই সেতুটির অ্যাপ্রোচের মাটি ভরাট কাজ সম্পন্নের করার জন্য ৪০হাজার টাকায় বরাদ্দ পান স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের(প্রকল্প কমিটির সভাপতি)। কিন্তু অর্থ বছরের ১১মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও কাজ করেন নি তিনি।
এই বিষয়ে আবু তাহের জানান, অর্থ বছরের আরো ১মাস বাকী অছে। এর মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন করা হবে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীর বিশ্বাস বলেন, খোঁজ নিয়ে গুরুত্ব সহকারে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech