ঢাকা ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৯
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার: জনগণ আমাকে রাজনৈতিক সার্টিফিকেট দিয়েছে, অন্য কারো সার্টিফিকেটে আমাকে রাজনীতি করতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। তিনি বলেন, আমার সার্টিফিকেট দেওয়ার অধিকার জনগণের। গত নির্বাচনে সেই জনগণই সার্টিফিকেট দিয়েছে আমি কে।
.
রবিবার (১০ নভেম্বর) কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ গণফোরাম থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে ‘জাতীয় বেইমান’ ও বিকল্পধারা থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীনকে ‘বহিরাগত’ বলে মন্তব্য করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন। তারই প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সাংবাদিকদের দেয়া প্রতিক্রিয়ায় সুলতান মনসুর এ কথা বলেন। সুলতান মনসুর আরও বলেন, আমার সম্পর্কে কে কি বললো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশে একে অন্যের বিষয়ে অনেক কথাই বলবে। এসব বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। তবে এম এম শাহীনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের বক্তব্যকে সঠিক বলে দাবি করেছেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু। তিনি বলেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ দলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে আমার কিছু বলার নেই। উনি যা বলেছেন তাই সঠিক।
.
কুলাউড়া আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে ইঙ্গিত করে বলেন, যাকে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গড়ে তুলেছেন তিনি বেইমান মুনাফিকদের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে (সুলতান মনসুরকে) ছাত্রলীগের সভাপতি, ডাকসুর ভিপি, এমপি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়েছেন। অথচ তিনি সংগঠনের নেতাদের বুকে ছুরি মেরে অন্য দলে গিয়েছেন। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগে এমন বেইমানের কখনো ঠাঁই হবে না।
তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীনকে ইঙ্গিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েক বছর আগে যখন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তখন সেখানকার একটি পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন হয়েছিল। তবে আজ সেই লোক সম্মেলনে বক্তব্য দিলেন। অথচ আমাদের জেলা আওয়ামী লীগের অনেক পরীক্ষিত নেতা এই সভায় বক্তব্য দিতে পারলেন না। তাই সব নেতাকর্মীদের এসব বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech