হবিগঞ্জে অবাধে চলছে পাখি শিকার : অপরাধের তোয়াক্কা করছে না কেউ !

প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০১৯

হবিগঞ্জে অবাধে চলছে পাখি শিকার : অপরাধের তোয়াক্কা করছে না কেউ !

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে পাখি শিকার ও নিধন দুটিই দন্ডনীয় অপরাধ হলেও আইনের সঠিক বাস্তবায়ন ও সচেতনতার অভাবে শিকারীদের ফাঁদে ধরা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হলেই রঙ-বেরঙের অতিথি পাখি কলতানে মুখরিত হয়ে থাকে বানিয়াচংয়ের হাওর-বাওড়গুলো। শীত মওসুম জুড়েই দেখা যায় সাদা বক, বালিহাঁস, সারস, পানকৌরিসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পাখির। খাল বিল ও জলাশয়গুলোতে নানা প্রজাতির ছোট ছোট মাছ খাওয়ার লোভেই অতিথি পাখি ঝাঁকেঝাঁকে আশ্রয় নেয়। দিগন্ত জুড়া উন্মুক্ত হাওয়ায় পাখা মেলে এক বিল থেকে অন্য বিলে উড়াউড়ি করে অতিথি পাখিরা। এদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে প্রকৃতি। কিন্তু এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল পাখির এমন অবাধ বিচরণে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১ লাখ টাকা জরিমানা, ১ বছরের কারাদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান থাকলেও এই আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে মৌসুমী পাখি শিকারীরা পাখি শিকারে মেতে উঠেছেন। এর তোয়াক্কা করছে না কেউ !। এক শ্রেণির অসাধু মানুষ তা হত্যা করছে এই পাখিগুলোকে। যা সভ্য সমাজের জন্য কাম্য নয়। শীত এলেই হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে উড়ে আসে এই অতিথি পাখিরা। আর এই অতিথি পাখিদের শিকার করে কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হয় আবার কেউ রসনার তৃপ্তি মেটাচ্ছেন। শিকারীরা বিষটোপ-বড়শিসহ নানা প্রকার ফাঁদ পেতে নির্বিচারে শিকার করছে এসব অতিথি পাখি। বাঁশের খুটি,কলা পাতা,খেজুর ডালের বেতের পাতা এসব উপকরণ দিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরী করা ফাঁদ পেতে বসে থাকে শিকারীরা। নৌকা, জাল, বন্দুক ও অচেতন ঔষধসহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে পাখি শিকারে। প্রতিদিনই শিকরাীরা এই পন্থায় নানা রকমের পাখি শিকার করছে। দিনদিন উপজেলাজুড়ে পাখি শিকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তারা অবাধ পাখি শিকার করায় জলাশয়ে আসা পাখিরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। শিকার করা পাখিগুলো বাজারে এনে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু পাখি শিকার ও দন্ডনীয় অপরাধ হলেও এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। ফলে অবাধে শিকার ও বিক্রি বেড়েছে পাখির।

সর্বশেষ ২৪ খবর