ঢাকা ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২০
ডেস্ক প্রতিবেদন :: করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতালি সরকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। শুক্রবার একদিনেই মারা গেছেন ২৫০ জন। এদিন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৪৭। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ২৬৬ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৬০ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন আছেন ১৪ হাজার ৯৫৫ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি গৃহবন্দী। ফলে জরুরি অবস্থায় বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গোটা ইতালি থমকে আছে। অর্থনৈতিক চরম ক্ষতির দিকে। নতুন করে কোনো পর্যটক ইতালিতে প্রবেশ করতে পারছে না। সরকার থেকে নির্দেশনা ঘর থেকে বাইরে কেউ যেন না যায় অতি প্রয়োজন ছাড়া।
করোনাভাইরাসে রোমের ক্লোসিয়াম, ফোনতানা ত্রেভি, ভেনেসিয়াসহ দর্শনীয় স্থানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গোটা ইতালির জনগণ এখন বন্দী জীবনযাপন করছে। সুপার মার্কেটগুলোতে একসঙ্গে সবাইকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলছে সরকার ঘোষিত প্রতিষ্ঠান।কিছু কিছু সুপার মার্কেট ও ক্লিনিকে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেয় না।
অন্যদিকে ইতালিজুড়ে মাস্কের খুবই অভাব দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে কয়েকটি ফার্মেসিতে মাস্ক পাওয়া যায়নি। বিক্রেতারা বলছেন আগামী সপ্তাহে আসতে পারে। তবে নিশ্চিত দিতে পারেনি কেউ। জরুরি অবস্থায় যানবাহনও আগের মত চলাচল করে না। ফলে বেড়ে গেছে যাত্রী দুর্ভোগ। ইতালি সরকার জুসেপ্পে কোন্তি করোনার মহামারী সামাল দিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে ৩ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তিনজনই উত্তর ইতালিতে থাকেন। বর্তমান তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ওই তিনজনের বাড়ি মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলায় বলে জানা গেছে।
করোনার গ্রাসে গোটা ইতালি এখন ফাঁকা। সরকার নতুন ডিক্রি করে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা নেই। বিভিন্ন স্থানে যানবাহন এবং চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা জোরদার রেখেছে প্রশাসন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech