ঢাকা ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০
ডেস্ক প্রতিবেদন :: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন নতুন দেশ করোনাভাইরাসের কবলে পড়ার পরই এই সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার ইউরোপকে এই মহামারীর কেন্দ্রস্থল হিসেবে ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। শুক্রবার এক সংবাদ সংস্থার প্রধান টেডরোস গেব্রিউস বলেছেন, বর্তমানে এই মহামারীর কেন্দ্রস্থল হয়ে পড়েছে ইউরোপ। বিবিসি। ইউরোপের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এই ঘোষণা দেন। ইতালিতে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬৬ জনে। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৬০ জন।
ইতালির পর স্পেনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার মৃতের সংখ্যা সেখানে দ্বিগুণ হয়ে ১২৯ জন হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৩১ জন। শনিবার থেকে রাষ্ট্রীয় সতর্কতা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ।
ভাইরাসটির বিস্তার রোধ করতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সীমান্তে বিধিনিষেধ জোরদার করা হয়েছে। স্পেন, ইতালি ছাড়া ফ্রান্সে ২ হাজার ৮৭৬ জন আক্রান্ত ও ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৬২ ও মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। যুক্তরাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু ও ৭৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ইউরোপসহ বিশে^ এখন পর্যন্ত ১৪৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৩ হাজার ৭০৯ জন। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৫ হাজার ৫৫১ জন।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস গেব্রিউস বলেন, ইউরোপ এখন মহামারীর উৎসস্থলে পরিণত হয়েছে। চীন বাদে সব আক্রান্ত দেশের তুলনায় নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে ইউরোপে। এমনকি চীন থেকেও বেশি হারে এখন ইউরোপে করোনাভাইরাস আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে। চীনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমছেই। শুক্রবার নতুন করে দেশটিতে ১১ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের ঘটনা ৮০ হাজার ৮২৪টি। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৮৯ জনের। এছাড়া ৬৫ হাজার ৫৪৭ জন সুস্থ হয়েছে।
টেডরোস বলেন, নির্দিষ্ট দেশে কোনো মহামারী বা রোগের ভয়াবহ রূপ দেখা গেলেও অনেক সময় মনে করা হয় আরেকটি দেশে সেটি হওয়ার আশঙ্কা নেই। এমন ভাবনাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বিশে^র প্রতিটি দেশেরই এখন উচিত ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভাইরাস আক্রান্তকে খুঁজে বের করা, সঠিক চিকিৎসা করা। কোভিড-১৯ রোগে ৫ হাজারের বেশি মৃত্যুর ঘটনাকে দুঃখজনক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন টেডরোস।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech