ঢাকা ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২০
তাহিরপুর সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলায় বৈশাখী ফসল বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটার ধুম না পড়লেও সল্প পরিসরে কাটা চলছে। মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে, গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে সরকার। যার কারনে অন্য এলাকা থেকে ধান কাটার শ্রমিকরা না আসায় কৃষকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
৭এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খাদ্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিত সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে বিভিন্ন হাওরে সোনালী ফসল বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে।সোনালী ফসলের মৌ মৌ ঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। সল্প পরিসরে জমি এর মালিক শ্রমিক মিলে তাল মিলিয়ে ধান কাটছেন।
এ সময় ধান কাটা শ্রমিক ও জমির মালিকদের মধ্যে অনেকে বলেন, হাওরে হাওরে ধান কাটা শুরু হলেও শ্রমিক সংকটের প্রভাব পড়েছে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাহিরপুরে ধান কাটা শ্রমিকরা আসেন। এবার করোনাভাইরাস সচেতনতায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে শ্রমিকরা আসতে পারছে না। যে কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। যদিও এখনো পুরোদমে ধান কাটা পড়েনি। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধান কাটার ধুম পড়ে যাবে। তখন শ্রমিক সংকটে ধান কাটা ব্যাহত হতে পারে। বর্তমানে আংশিক ধান কাটা চলছে। এতে শ্রমিক না পেলেও জমির মালিকরা নিজে ধান কাটছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের আবুল কালাম খানঁ পারুল বলেন মাটিয়ান হাওর সহ সবকটি হাওরে ধান পাকতে শুরু করেছে। আংশিক জমিতে ধান কাটা হচ্ছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সবকটি হাওরে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। তিনি নিজে ৬০ কেয়ার জমি আবাদ করেছেন। তমধ্যে অর্ধেক জমির ধান পাকা। পরিবারের লোকজন সহ এলাকার ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছেন। মনের ভিতর অজানা দুশ্চিন্তা বিরাজ করে, কখন জানি ঝড়তুফান আর শিলা বৃষ্টি হয়। অন্যান্য বছর দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসলেও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা আসছেন না। যদি সরকারি ভাবে অনুমতি পাওয়া যায় ।তা হলে শ্রমিকরা আসতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
ধান কাটা নিয়ে শংক্ষিত উপজেলার তরং গ্রামের কৃষক শাহিন আখঞ্জী, আক্ষেপ করে বলেন অনেক কষ্ট করে জমি রোপণ করেছি এখন শ্রমিকের অভাবে যদি ধান কাটতে না পারি তাহলে ছেলে পুলে নিয়ে কি খাব। করোনা ভাইরাসের আতংকে শ্রমিকরা আসতে পারছে না।
উপজেলার রামজীবন পুর গ্রামের শনি হাওর পাড়ের কৃষক রিপন মিয়া বলেন বৈশাখী ফসল পাকা সাথে সাথে কাটতে হয়। কারণ পাহাড়ি ঢল আর শীলা বৃষ্টির ভয় থাকে বেশি কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক আসতে পারছে না। শ্রমিকের অভাবে,জমির ফসল আসবে কি ঘরে, জানি না আল্লাহ পাক কপালে কি লিখেছেন মোরে।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাছান উদ দৌল্লার কাছে শ্রমিক সংকট নিরসনে বিষয়ে জানতে হলে তিনি বলেন উপজেলায় ১৭৫২৭হেক্টর জমিতে বোরো ফসিল চাষ হয়েছে । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ধান কাটার মেশিন সল্প পরিসরে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। প্রয়োজনে শ্রমিক আসার ব্যবস্থা করে বোরো ধান কাটার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । এতে কৃষক শংক্ষিত হওয়ার কারন নেই । আমরা উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করছি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech