ঢাকা ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২১
মাধবপুর সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের মাধবপুরের কমলপুরে এক নারীকে আটকে রেখে রাতভর ‘গণধর্ষণ’ করে বখাটে সিএনজি অটোরিকশা চালক মাসুক মিয়া (৩৫)ও তার বন্ধু সাখাওয়াত হোসেন রুবেল (৩২)। পরদিন স্থানীয়রা ওই নারীর চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুককে কৌশলে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় জনতা।
শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (৬) গ্রেপ্তারকৃত সিএনজি চালক মাসুক মিয়াকে প্রেরণ করা হলে সে আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাধবপুর সেমকো গ্যাস পাম্প এলাকা থেকে জগদীশপুর চারাভাঙ্গা কবিরাজের বাড়িতে যেতে চান নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর গ্রামের ওই নারী। এসময় সিএনজি চালক মাসুক মিয়া তাকে গন্তব্যে পৌছে দিবেন বলে গাড়িতে তোলেন। পথিমধ্যে অটোরিকশা চালক মাসুক কার সাথে ফোনে কথা বলে জানায়, ‘কবিরাজ আজ বাড়িতে নেই। তবে, ধর্মের বোন হিসেবে আপনি আজ আমার বাড়িতে থেকে কাল বুধবার কবিরাজের ওখানে যাবেন। কবিরাজ অবশ্যই কাল থাকবেন বলে ফোনে নিশ্চিত হতে পেরেছি।’
ওই নারী সরল বিশ্বাসে তার কথায় সম্মতি প্রকাশ করেন। তখন অটো চালক ফোনে তার আরেক বন্ধু রুবেলকে ডেকে আনেন এবং বাড়িতে যাচ্ছেন বলে ওই নারীকে আশ্বস্ত করেন। পরে মাসুক ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে নিজের বাড়িতে না গিয়ে ওই নারীকে নিয়ে স্থানীয় কেরামত আলীর বাড়িতে ওঠেন এবং মেহমান হিসেবে তার ধর্মের বোনকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। রাত অনুমান ১১টার সময় মাসুক মিয়া ও সাখাওয়াত হোসেন রুবেল কমলপুরস্থ কেরামত আলীর বাড়িতে যান এবং ওই নারীকে ডেকে কিছু বলার জন্য বাইরে আসতে বলেন। পরে তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি বাগানে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে মাসুক ও রুবেল।
বুধবার (২৬ মে) সকাল ৫টার দিকে ওই নারীর চিৎকার শুনতে পায় দোকানে থাকা লোকজন। তারা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী মাসুক মিয়াকে খবর দেন। মাসুক ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকারে তার সাথে রুবেল নামে আরেকজন ছিল বলে স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়রা মাসুককে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন।
এ ব্যাপারে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উত্তম কুমার দাসের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় মেম্বারসহ এলাকার লোকজন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার ও ধর্ষণকারীকে আটক করে আমাদেরকে ফোনে জানান। পরে এস আই বাবুল চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং ওই নারীকে উদ্ধার ও অটোরিকশা চালক মাসুককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে এ ঘটনায় অপর অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন রুবেলকে পাওয়া যায়নি বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (৬) গ্রেপ্তারকৃত সিএনজি চালক মাসুক মিয়াকে প্রেরণ করা হলে সে আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech