ঢাকা ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি আলমগীর হোসেনকে কোন সরকারি ভাতা প্রদান করা হয়নি। সরকারি টাকায় ভরসা না রেখে ও ভিক্ষাবৃত্তি না করে হতদরিদ্র আলমগীরের পথচলা শুরু পত্রিকা আর প্লাস্টিক বোতল সংগ্রহ করে। কেজি দরে বাজারে বিক্রি করে পাওয়া সামান্য অর্থতেই চলে তার জীবন। সদা হাসিমুখে কথা বলা আলমগীর যেনো বর্তমান সময়ের প্রতিকূলতায় পথ চলার এক চরম দৃষ্টান্ত।
তিনি পৌর এলাকার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত হাসিম উল্লার ছেলে।
এপর্যন্ত কোনো সরকারি ভাতা পানি আলমগীর। এতে জনমনে ক্ষোভ ও প্রশ্নের উদয় হয়েছে। যেখানে প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদানে সরকার সচেষ্ট, সেখানে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিতই রয়েছেন আলমগীর।
স্থানীয়রা জানান, অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করলেও ভিক্ষা বৃত্তি করে না আলমগীর। সহজ-সরল আলমগীর সব সময় হেসে কথা বলে। শুদ্ধভাবে কোন কথা বলতে পারে না। জানে না টাকার হিসাব। চেনে না রাস্তাঘাট। জানে না নিজ গ্রামের নাম। উঠে না কোন গাড়িতে। চেনে শুধু নিজের বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ড ও বাসস্ট্যান্ড থেকে পৌর পয়েন্ট। এটুকু রাস্তা নিয়ে তার জীবন। তবে সে শ্রম দিয়ে উপার্জন করে।
প্রতিদিন সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে আসা পত্রিকার বান্ডিলগুলো বাসস্ট্যান্ড থেকে জগন্নাথপুর সংবাদপত্র সমিতির সভাপতি নিকেশ বৈদ্যের কাছে পৌছে দেয়। এ কাজের জন্য নিকেশ বৈদ্য আলমগীরকে কয়েকটি পত্রিকা দেন। এছাড়া বাজার থেকে কুড়িয়ে প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করে। সব মিলিয়ে কেজি পত্রিকা ও বোতল ২৫ টাকা দরে বিক্রি করে সংসার চালায় আলমগীর। পত্রিকা ও বোতল ছাড়া আলমগীর আর কিছু বুঝে না। পত্রিকা ও বোতাল পেলে আলমগীর অনেক খুশি হয়। তবে স্থানীয় সাংবাদিকরা আলমগীরকে খুব সমাদর করেন। এ নিয়ে আলমগীরের পথচলা।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech