ধর্মঘটীদের নৈরাজ্যে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে নবজাতকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৮

ধর্মঘটীদের নৈরাজ্যে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে নবজাতকের মৃত্যু

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে পরিবহণ ধর্মঘটীদের নৈরাজ্যের কবলে পড়ে মারা গেছে এক নবজাতক। উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গনিগঞ্জ গ্রামের মইনুল ইসলামের একদিন বয়সী এক শিশু অসুস্থ অবস্থায় সোমবার বাবার কোলে মৃত্যুবরণ করে। পরিবহন ধর্মঘটীদের ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির কারণে ওই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি তার বাবা। অনেক কাকুতিমিনতি করার পরও ধর্মঘটী পাষন্ডরা যানবাহনযোগে নবজাতককে নিয়ে হাসপাতাতে যেতে দেয়নি। ফলে রাস্তার মধ্যে বাবার কোলেই মৃত্যু ঘটে ওই নবজাতকের।
এর আগে ধর্মঘটের প্রথম দিনে রবিবার মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় সাতদিন বয়সী এক শিশুকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেয় শ্রমিকরা। ফলে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যায়।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দণি সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গনিগঞ্জ গ্রামের মইনুল ইসলামের স্ত্রী শেলিনা বেগম কাল রবিবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ঠান্ডাজনিত কারণে ওই নবজাতক সোমবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। ওই পল্লী চিকিৎসক নবজাতক শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
মইনুল ইসলাম তার নবজাতক শিশুকে নিয়ে যানবাহনযোগে হাসপাতালে যেতে চাইলে ধর্মঘটীরা গনিগঞ্জ বাজারে বাধা দেয়। মইনুল ইসলাম বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে শ্রমিকদের অনুরোধ ও কাকুতিমিনতি করলেও তারা কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। স্থানীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা। হাসপাতালে নিতে না পারায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নবজাতক শিশুটি বাবার কোলেই নিথর হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে মইনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কান্না চেপে শুধু এটুকুই বলেন, ‘এই কষ্ট কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’
গনিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা সকাল থেকে শ্রমিকদের হাতে পায়ে ধরে বলেছি, কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনেনি। বাবার কোলে সন্তানের মৃত্যু আমরা কোনভাবেই মানতে পারছি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর আহমদ বলেন, ‘এ নৈরাজ্য কোনভাবেই মানা যায় না। সরকারের উচিত এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ধরে ধরে শাস্তি প্রদান করা। অন্যথায় জনগণ এর বিচার করবে। বাবার কোলে নবজাতকের মৃত্যু কত যে বেদনাদায়ক, শুধু মাত্র ওই বাবাই বুঝতে পারছেন।’সুনামগঞ্জ জেলার দণি সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গনিগঞ্জ গ্রামের মইনুল ইসলামের একদিন বয়সী এক শিশু অসুস্থ অবস্থায় বাবার কোলে মৃত্যু বরণ করেছে। পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির কারণে ওই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি তার বাবা। অনেক কাকুতিমিনতি করার পরও পরিবহন শ্রমিকরা যানবাহনযোগে নবজাতককে নিয়ে হাসপাতাতে যেতে দেয়নি।
এর আগে, শ্রমিকদের কর্মবিরতির প্রথম দিনে রবিবার মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় সাত দিন বয়সী এক শিশুকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। শ্রমিকরা পথে পথে অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেয়। ফলে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যায়।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দণি সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গনিগঞ্জ গ্রামের মইনুল ইসলামের স্ত্রী শেলিনা বেগম কাল রবিবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ঠান্ডাজনিত কারণে ওই নবজাতক সোমবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। ওই পল্লী চিকিৎসক নবজাতক শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
মইনুল ইসলাম তার নবজাতক শিশুকে নিয়ে যানবাহনযোগে হাসপাতালে যেতে চাইলে পরিবহন শ্রমিক গনিগঞ্জ বাজারে বাধা দেয়। মইনুল ইসলাম বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে শ্রমিকদের অনুরোধ ও কাকুতি-মিনতি করলেও তারা কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। স্থানীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা। হাসপাতালে নিতে না পারায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নবজাতক শিশুটি বাবার কোলেই নিথর হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে মইনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কান্না চেপে শুধু এটুকুই বলেন, এই কষ্ট কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
গনিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে শ্রমিকদের হাতে পায়ে ধরে বলেছি, কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনেনি। বাবার কোলে সন্তানের মৃত্যু আমরা কোনভাবেই মানতে পারছি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর আহমদ বলেন, ‘এ নৈরাজ্য কোনভাবেই মানা যায় না। সরকারের উচিত এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ধরে ধরে শাস্তি প্রদান করা। অন্যথায় জনগণ এর বিচার করবে। বাবার কোলে নবজাতকের মৃত্যু কত যে বেদনাদায়ক, শুধু মাত্র ওই বাবাই বুঝতে পারছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর