ঢাকা ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টমটম চালক সাইদুল ইসলাম (১৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ঘাতক কাজল দেবনাথ আজ শুক্রবার সুনামগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। নিজের দোষ স্বীকার করে সে হত্যার বর্ণনা দেয়। পরে তাকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় কাজল দেবনাথকে প্রধান আসামী করে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অপর তিন আসামী বি-বাড়িয়ার জেলার নাসিরনগর থানার আতুকুড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী শেখ বিলাল হোসেন (৪৫) ও একই জেলার বিজয়নগর থানার জালালপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নৈশ প্রহরী শরিফ মিয়া (৩৫) ও প্রধান আসামি কাজল দেবনাথ-এর ভগ্নিপতি নাসিরনগর থানার কালিবাড়ি গ্রামের মহেশ্বর দেবনাথ। তাদের মধ্যে বিল্লাল ও শরিফ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের রশিদপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিল।
সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) মো. মাহমুদ হাসান চৌধুরী জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হাতিউড়া গ্রামে আমি ও জগন্নাথপুর থানার উপ পরিদর্শক অনিক দে’র নেতৃত্বে গোপাল দেবনাথের ছেলে কাজল দেবনাথকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তার কাছ থেকে টমটম চালকের মুঠোফোন পাওয়া যায়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে তার ভগ্নিপতি মহেশ্বর দেবনাথের একই উপজেলার কালিবাড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে খুন হওয়া টমটম চালকের টমটম উদ্ধার করা হয়। পরে তার কথামতো লাশ উদ্ধার হয়।
তিনি বলেন, শেখ বিল্লাল হোসেন একজন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হলেও তিনি সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গারি ব্যবসা করছেন। তার কর্মচারী হিসেবে ভাঙ্গারির মালামাল জগন্নাথপুরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রয় করেন কাজল দেবনাথ।
তিনি আরো বলেন- ঈদের আগের দিন টমটম চালক জগন্নাথপুরের বাউরকাপন গ্রামের সাইদুল ইসলাম এর টমটম গাড়ি রাসেল মিয়া পরিচয়ে ভাড়া নেন কাজল দেব নাথ। সেদিন গাড়ি না চালিয়েই ৫শ’ টাকা দিয়ে বিদায় দেন সাইদুল কে। পরদিন ১১ আগস্ট ফোন করে সাইদুল কে ডেকে নিয়ে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী শেখ বিল্লাল হোসেনের দক্ষিন সুরমার কুতুবপুর এলাকার গোডাউনে নিয়ে যান। সেখানে শেখ বিল্লাল, কাজল দেবনাথ ও দোকানের নৈশ প্রহরি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার জালালপুর গ্রামের শরিফ মিয়া মিলে টমটম চালক সাইদুরের ঘাড়ে হেমার (কাঠের শক্ত টুকরা) দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে। পরে লাশ রশিদপুর এলাকার একটি ঝোঁপে ফেলে দেয়।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আসামির স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি দেড় লাখ টাকা দামের টমটম গাড়িটি আত্মসাৎ করতে তাকে হত্যা করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামি ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বর্ণনা দিয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech