ঢাকা ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:১৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
‘ছলে-বলে-কৌশলে’ প্রবাদটি মানানসই যুক্তরাষ্ট্রের কাজের সঙ্গে। টার্গেট করা দেশকে কব্জায় আনতে যত বাণ দরকার তার সবটাই মারে তারা। যার মাধ্যমে একটি দেশের ওপর চেপে বসে যুদ্ধ, সামরিক অভ্যুত্থান অথবা বিশেষ বাহিনীর গোপন অভিযান চালানো হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সারা বিশ্বে এভাবেই আধিপত্য কায়েম রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলশ্রুতিতে এসব যুদ্ধ, সামরিক অভ্যুত্থান বা গোপন অভিযানে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন (দুই থেকে তিন কোটি) মানুষ।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘গ্লোবাল রিসার্চ: সেন্টার ফর রিসার্চ অন গ্লোবালাইজেশন’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এ তথ্য সামনে চলে আসে।
ওই প্রতিবেদনে ১৯৪৫ সালের পর থেকে গত ৭৩ বছরে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাযজ্ঞের এ চিত্র উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসবিদ জেমস এ লুকাস কয়েক বছর ধরে গবেষণা করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া অবৈধ যুদ্ধ, সামরিক অভ্যুত্থান ও গোপন সামরিক অভিযানের শিকার হয়েছে বিশ্বের অন্তত ৩৭টি দেশ বা জাতি। এর মধ্যে ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে আফগানিস্তানে ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এখনও যুদ্ধ করছে সিরিয়া, ইয়েমেন ও লিবিয়ায়। আর এসব যুদ্ধ ও সংঘাতে বিশাল সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া বিমান হামলা আর অত্যাধুনিক সব অস্ত্রের আঘাতে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধে প্রত্যেক নিহত ব্যক্তির বিপরীতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মানে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর হাতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি মানুষ।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech