মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের দু’জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৮

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের দু’জনের মৃত্যুদণ্ড

ডেস্ক প্রতিবেদন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনাল।

সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট শুনানি শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য অপেমান (সিএভি) রেখেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রইব্যুনাল।

আদালতে রাষ্ট্রপে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। আসামিপে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম শুনানি করেন।

২০১৬ সালের ১ নভেম্বর ওই দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শেষ করার পর তা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। এরপর ১৮ মে দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

এই দু’জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে হবিগঞ্জের লাখাই থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানা ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানা এলাকায় গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটের সাতটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত করেছেন মো. নূর হোসেন।
দুই রাজাকারের পরিচয় :

১৯৭১ সালে লিয়াকত আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ছাত্র ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি মুসলিম লীগের সদস্য হিসেবে ফান্দাউক ইউনিয়নে রাজাকারের দায়িত্বে ছিলেন। স্বাধীনতার পরে এসে তিনি লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সভাপতিও হয়েছিলেন।

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার আলীনগরর গ্রমের রজব আলী ভৈরব হাজী হাসতম আলী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ইসলামী ছাত্র সংঘের কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভৈরবে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিণ নিয়ে রজব আলী এলাকায় আল বদর বাহিনী গঠন করেন। স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে তার বিরুদ্ধে দালাল আইনে তিনটি মামলা হয় এবং ওইসব মামলার বিচারে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়।

১৯৮১ সালে রজব ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন। এরপর তিনি ‘আমি আল বদর বলছি’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ ২৪ খবর